Table of Contents

চিয়া সীড (Chia Seed)

Chia Seeds
Table of Contents

চিয়া সীড(Chia Seed)

 

চিয়া সীড বর্তমান সময়ে পৃথিবীর সুপার ফুড গুলোর মধ্যে অন্যতম। মূলত চিয়া সীড একধরনের শস্য দানা। চিয়া সীডের আদি নিবাস মেক্সিকোতে হলেও ক্যালিফোর্নিয়া এবং ব্রিটেনে এটি বেশ জনপ্রিয়। মরুভূমির সালভিয়া হপ্পনিকা ( এটা উদ্ভিদ শ্রেনীর নাম) শ্রেণীর উদ্ভিদ থেকে চিয়া সীড এসেছে।

চিয়া সীডের স্বাদ অনেকটা পুদিনা পাতার কাছাকাছি। চিয়া সীড দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি কালো বর্ণের অন্যটি শ্বেত বর্ণের। ছোট আকৃতির এই বীজটির খাদ্যমান বেশ উচ্চমাত্রার।  

চলুন তবে এই সুপার ফুডটির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

 

১) চিয়া সীডে রয়েছে  উচ্চমাএার এন্টিঅক্সিডেন্ট

এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও দেহের অভ্যন্তরীণ কোষ রক্ষণাবেক্ষণে বেশ উপকারি ৷ চিয়া সীডে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের স্পর্শকাতর ফ্যাট রক্ষা করে। তাছাড়া ত্বকে বলিরেখা পড়া রোধ এবং কোষ গুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। 

 

২) চিয়া সীডে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন

প্রোটিন আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারি। তবে বর্তমানে অধিক প্রোটিন গ্রহণ দেহের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। চিয়া সীড সেক্ষেত্রে আপনার জন্য বেশ উপযোগী একটি খাবার ৷ প্রতিদিন ১ আউন্স অর্থাৎ ২৮ গ্রাম চিয়া সীড থেকে ৪ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। যাদের প্রোটিন গ্রহণে সমস্যা রয়েছে বা যারা নিরামিষ ভোজী, তারা খুব সহজে চিয়া সীড নিয়মিত গ্রহনের মাধ্যমে প্রোটিন পেয়ে যাবেন।

 

চিয়া সীড (Chia Seed)

চিয়া সীড (Chia Seed)

 

৩) উচ্চমাত্রার ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে চিয়া সীডে  

তিসির বীজের মতো চিয়া সীড ওমেগা-৩ ফ্যাটি  এসিড সমৃদ্ধ। এক গবেষণায় দেখা গেছে স্যালমন মাছের চেয়ে বেশি ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় চিয়া সীডে। ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ALA( alpha linolenic acid) যা হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। 

 

৪) হাড়ের সুস্থতায় চিয়া সীড

হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখতে,আমরা জানি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের বিকল্প নেই।

কিন্তু বর্তমান সময়ের গবেষণার এক রিপোর্টে উঠে এসেছে যে,  চিয়া সীডে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফরসফরাস এবং প্রোটিন। চিয়া সীডে থাকা ক্যালসিয়ামে রয়েছে ১৮%।  যা আপনার হাড়কে সুস্থ রাখতে যথেষ্ট। নিরামিষ ভোজী থেকে আমিষ ভোজী সকলের জন্য চমৎকার ক্যালসিয়ামের উৎস চিয়া সীড। 

 

৫) রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে

রক্তের সুগার লেভেল বৃদ্ধি পাওয়া টাইপ-২ ডায়বেটিসের প্রধান লক্ষণ। ক্রমাগত ভাবে  রক্তের সুগার লেভেল এভাবে বৃদ্ধি পাওয়া হার্টের সমস্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। 

আশার কথা হচ্ছে চিয়া সীড নিয়মিত গ্রহনে রক্তে ইনসুলিনের সেনসিটিভিটি মাএা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত চিয়া সীড আপনাকে অনেকটাই রক্তের সুগার লেভেল বৃদ্ধি হওয়া কমাতে সাহায্য করবে এবং  হার্টকে রাখবে সুস্থ। 

 

৬) ত্বকের সংক্রমনের মাএা কমায়

প্রতিদিনের দূষণ, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং কৃএিম প্রসাধনীর দাপটে ত্বকের সংক্রমণ নিত্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে আমাদের জীবনে। চিয়া সীড আপনাকে এই ত্বকের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করবে। 

প্রতিদিন ৩৭ গ্রাম নিয়মিত গ্রহণে ত্বকের এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। মূলত এর নিয়মিত গ্রহণ রক্তের কনিকা সমূহ সুস্থ থাকে এবং ত্বকে অক্সিজেনের মাএা বৃদ্ধি করে। ফলে আপনার ত্বক ভিতর ও বাহির থেকে হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল।                                                       

 

৭) ওজন কমাতে সাহায্য করে 

চিয়া সীড আপনার ডায়েট চার্টের জন্য যথা উপযুক্ত খাবার৷ কারন চিয়া সীড আপনি যে খাবারের সাথে মিশিয়ে গ্রহণ করুন না কেন, পেটে যাবার পর তা ফুলতে শুরু করে এবং আপনার পেট ভরে যায়। ফলে ক্ষুধা কমে যায় এবং অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করার প্রবনতা হ্রাস পায় । সেক্ষেত্রে আপনার বাড়তি ওজন সহজে ঝরে গিয়ে চলে আসবে স্বাভাবিক আকারে। এখানে একটু বলে রাখা ভালো,চিয়া সীড খাবার হজমে বেশ সহায়তাকারি।      

চিয়া সীড মানবদেহের জন্য খুবই উপকারি সব দিক থেকে। আপনার দেহের অভ্যন্তরীণ রক্ষণাবেক্ষণ সহ বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য চিয়া সীড কাজ করে থাকে। তাই বলা যায়, শুধু শরীর সুস্থ রাখতে এবং সৌন্দর্য বজায় রাখতে চিয়া সীডের ভূমিকা অসামান্য।

 

চিয়া সীড খাওয়ার নিয়মাবলি 

 আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন খাবারের সাথে যোগ করে এর স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন ।  সালাদ বা জুসের সাথে যোগ করতে পারেন চিয়া সীড। ওটস এর সাথে যোগ করে খেয়ে নিতে পারেন সকালের নাস্তায়।  তবে রান্নায় সরাসরি যোগ না করা ভাল। বরং আপনি চাইলে রান্না করা পছন্দের খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন সুপার ফুড চিয়া সীড।     

 

সীড
Website |  + posts
Cart
  • No products in the cart.