অশ্বগন্ধার পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি:
অশ্বগন্ধা গাছ সাধারণত ১ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। এর ফুল ছোট আকৃতির এবং হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। ফল মটরের ন্যায় গোলাকার, কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পাকলে হলুদ কিংবা লাল বর্ণ ধারন করে। অশ্বগন্ধার মূল বেশ নরম, ভাঙলে ভেতরটা সাদা দেখা যায়।
প্রচলিত নামঃ অশ্বগন্ধা
ইউনানী নামঃ এস্গন্ধ
আয়ুর্বেদিক নামঃ অশ্বগন্ধা
ইংরেজি নামঃ Withania Root/Winter Cherry
বৈজ্ঞানিক নামঃ Withania somnifera Dunal
পরিবারঃ Solanaceae

অশ্বগন্ধার পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি
প্রাপ্তিস্থানঃ কোন কোন কবিরাজের বাড়িতে পাওয়া যায়। বন্য অবস্থায় পাওয়া যায় না বললেই চলে।
রোপনের সময় ও পদ্ধতিঃ হেমন্ত কালে বীজ ছিটিয়ে বা বীজ থেকে চারা রোপন করা যায়। গোড়ায় পানি জমা হলে গাছ পঁচে যায়। শুষ্ক মৌসুম এর বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত সময়। রাসায়নিক উপাদানঃ মূলের প্রধান উপাদান ট্রপেন অ্যালকালয়েড ও বিভিন্ন স্টেরয়ডীয় ল্যাকটোন, যথা, উইদানোলাইড, উইদাফেরিন ইত্যাদি।
অশ্বগন্ধা ভেষজ গুনাগুনঃ
ব্যবহার্য অংশঃ মূল।
গুনাগুনঃ বলকারক, বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় উপকারী। অনিদ্রা, পুরাতন ব্রঙ্কাইটিস, শারীরিক ও স্নায়ু দুর্বলতা, শুক্রক্ষয় ও যৌন দুর্বলতা।
বিশেষ কার্যকারিতাঃ বলকারক, বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা শুক্রক্ষয় ও যৌন দুর্বলতা।
রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতিঃ
রোগেরনামঃ শারীরিক ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায়
ব্যবহার্য অংশঃ মূলচূর্ণ,
মাত্রাঃ ৩-৪ গ্রাম,
ব্যবহার পদ্ধতিঃ ১ কাপ গরম দুধের সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার সেব্য (১-২ মাস)।
রোগেরনামঃ পুরাতন ব্রঙ্কাইটিস,
ব্যবহার্য অংশঃ মূলচূর্ণ,
মাত্রাঃ ২-৩ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ প্রয়োজনমত মধু মিশিয়ে লেহন বা চেটে চেটে দিনে ২-৩ বার সেব্য (১-২ মাস)।
রোগেরনামঃ শুক্রক্ষয় ও যৌন দুর্বলতায়,
ব্যবহার্য অংশঃ মূলচূর্ণ,
মাত্রাঃ ৩-৪ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ ১ কাপ গরম দুধের সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার সেব্য (১-২ মাস)।
রোগেরনামঃ অনিদ্রায়,
ব্যবহার্য অংশঃ মূলচূর্ণ,
মাত্রাঃ ৩-৪ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ প্রয়োজনমত চিনি ও ঘি মিশিয়ে রাত্রে শয়নকালে সেব্য (৭-১০ দিন)।
আমাদের এ লেখাটি ভালো লাগলে আরো পড়তে পারেন :
Trackbacks/Pingbacks