Description
আয়ুর্বেদিক ঔষুধ হিসেবে পরিচিত নিম ভারত অথবা বার্মাতেই প্রথম আবিষ্কার হয় বলে ধারণা করা হয়। চিরসবুজ এর গাছের বোটানিক্যাল নাম Azadirachta indica. নিমের পাতা ও বীজকে পিষে নিমতেল তৈরি হয়, এর বাকল, পাতা, বীজ, শেকড়, শাঁস, সবই ঔষুধী উপাদানে ভরপুর, একে সর্ব রোগের ঔষুধ হিসেবেও জানা যায়। ভারত, আফ্রিকা, ফিজি, মরিসাস, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং কলোম্বিয়াতে অধিক পরিমানে এর ব্যবহার লক্ষ্যনীয়।
এর অতিরিক্ত তিক্ত স্বাদের জন্য এটি তেমন খাওয়া হয় না তবে প্রতিদিন সকালে নিমের জুস খেলে যাবতীয় রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি মিশিয়ে বা নিম পাতাকে ৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফুটিয়েও এই তেল পাওয়া যায়। এতে রয়েছে অলিক এসিড, পামিটিক এসিড, স্টেরিক এসিড, লিনোলিক এসিড, ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিন। এই সকল উপাদান আপনার গ্যস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করবে এবং ক্যান্সার প্রতরোধক হিসেবে কাজ করবে। পোকা-মাকড় ও মশা থেকে সুরক্ষা পেতে নিম তেলের জুড়ি নেই।
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিম গাছের পাতা পানি দিয়ে হালকা পিষে যে রস বের হবে, ওটা পায়ের পাতায় ও হাতে যদি দেওয়া হয়, তাহলে মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আরেকটা হচ্ছে, নিমের পাতা পানিতে সিদ্ধ করার পর যেটা বের হবে, ওই পানি এবং নিমের তেল খানিকটা মিশিয়ে গায়ে মাখলে মশায় কামড়াবে না।
ড. কাদের বলেন, ‘আমরা একটি গবেষণা করেছিলাম এ নিয়ে। চুলে নিম পাতার রস দিলে উকুন মারা যায়। আবার নিমের তেলের ছোঁয়া পেলেই উকুন মারা যায়। দিনাজপুরে সাঁওতালরা মহিষ পালন করে। তারা নিমের তেল মহিষের গায়ে মেখে দেয়। তাতে উকুন সব মরে যায় এবং গায়ের চামড়া খুব নরম হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিমের তেল হাতে পায়ে দিলে কোনও ক্ষতি নেই। যদি মুখের ভেতরে কোনও কারণে চলে যায়, তাতেও কোনও ক্ষতি নেই। বাচ্চাদের জন্য এটা খুব উপকারী। আমরা একটি জারের মধ্যে নিমের তেল রেখে একটি মশা রেখেছিলাম সেখানে। মশাটি কিন্তু মারা গিয়েছিল। নিমের একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে—মশা তাড়ানো এবং একই সময়ে মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার বিশেষ উপায়। আমি নিজে আমার ছেলেমেয়ের হাত ও পায়ে নিমের তেল লাগিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছি। চমৎকার কাজ হয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক আগে থেকেই নিম গাছের শুকনা পাতা মশার কয়েলের মতো ব্যবহার করা হয়। এছাড়া, অনেক কোম্পানির মশার কয়েলেও নিমের ব্যবহার আছে। নিম গাছের পাতায় কিছু উপাদান আছে, যেটাকে মশা সহ্য করতে পারে না। নিমের আরও ভেষজ গুণ আছে। চর্মরোগের ক্ষেত্রেও এটা উপকারী।’ ” — তথ্য সুত্র – বাংলা ট্রিবিউন
পুরো সংবাদটি পড়ুন এখানে ।
সতর্কতা:
*ত্বকে নিম তেল ব্যবহারের পূর্বে এক ফোটা তেল হাতের তালুর উপরিভাগে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নেয়া ভালো! ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি কোনো এলার্জি (যেমন লাল হয়ে যাওয়া বা ফোলাভাব) এর লক্ষণ না দেখা যায় তবে নিশ্চিন্তে এটা শরীরের যে কোনো জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে!
Reviews
There are no reviews yet.