শরীরকে সুস্থ ও সুন্দর করে তুলতে কে না চায় ? এজন্য প্রকৃতির কাছে থাকার কোন বিকল্প নেই। প্রাচীনকাল থেকেই যুগে যুগে তাই ভেষজ জিনিষ মানুষ ব্যবহার করে আসছে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন  প্রতিষ্ঠান এসব পন্যকে মানুষের সামনে তুলে ধরেছে সুনিপুণ ভাবে।

এমনি একটি জাদুকরী জিনিষ জিনসেং। এটি একটি চীনা ভেষজ শেকড় । ১৯৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম চৈনিক ভেষজ বইয়ে এই নাম উল্লেখ করা হয় এবং ১৫৯৬ খ্রিস্টাব্দে লি শিঝেন তার বইয়ে একে “সুপিরিয়র টনিক” হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। তবে চীন ছাড়াও উত্তর আমেরিকা, সুদূর সাইবেরিয়া ও কোরিয়া তে জিনসেং উৎপাদিত হয়ে থাকে। পাহাড়ের খাঁজে সাধারণত এই বনজ জিনসেং হলেও এখন অনেক দেশে বাণিজ্যিক ভাবে জিনসেং উৎপাদিত হয় । একে বলা হয় ইংরেজিতে অল হিলার বা সর্ব রোগের ঔষধ। সাধারনত: জিনসেং দুই ভাবে পাওয়া যায়। এক: প্রাকৃতিক ও বাণিজ্যিক চাষে। বিভিন্ন ধরণের রংয়ে জিনসেং পাওয়া যায়। সবুজ বা ফ্রেশ জিনসেং, রেড  জিনসেং, হোয়াইট জিনসেং। সবুজ বা ফ্রেশ জিনসেং একেবারেই র বা কাঁচামাল হিসেবে পাওয়া যায়। হোয়াইট জিনসেং একটু শুকিয়ে তারপর বাজারজাত করা হয়। আর রেড জিনসেং আরো প্রসেস করে, ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ২১২ ফারেনহাইট এ  এ শুকিয়ে বাজারজাত করা হয়।

খাবার বা ঔষধ দুই ক্ষেত্রে জিনসেং ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন তরকারিতে, স্যুপ বা চায়ে জিনসেং বা জিনসেং লিকার ব্যবহার হয়। ২০১৭ সালে জিনসেং এর উপর ব্যাপক আকারে গবেষণা হয়। ঐতিহ্যবাহী ভেষজ ঔষধি হিসেবে জিনসেং কয়েক শতাব্দী ধরে রাজত্ব করছে ঔষধ জগতে।

দেখতে মানুষ  আকৃতির এই ঔষধি শেকড়ের রয়েছে  শারীরিক ও মানষিক শক্তি বৃদ্ধির দারুণ সব গুণ । জিনসেং চিন্তা-চেতনার প্রসারে সাহায্য করে। জিনসেং বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত এক ঔষধি শেকড়। মানুষ শত শত বছর ধরে জিন্সেং বেবহার করছে। যতটা না ওষুধ হিসেবে তার থেকে অনেক বেশী খাবার হিসেবে।  এটা বিশাল টনিক যা মানুষ চা, সুপ, ড্রিংক বা অন্যান্য খাবারের সাথে  গ্রহন করে থাকে।

লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি১, বি৩, বি৬, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস সহ অনেক খনিজের আধার এই জিনসেং।  যে কোনো শারিরীক ঘাটতি পূরন করতে সহায়তা করে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে জিনসেং টাইপ ২ ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করতে ভাল কাজ করে । এছাড়া যারা হার্টের রোগীর জন্য খুব কার্যকর এই জিনসেং। চর্বিকে তরল করে রক্তনালীকে প্রশস্ত করে এই জিনসেং। হিমোগ্লোবিনকে সহনীয় পর্যায়ে রেখে রক্তকণিকাকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

নারী ও পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা দূর করতে জিনসেং এর বিকল্প নেই। এটা প্রজনন স্বাস্থ্য পরিচর্যায় অনন্য ।আর এর তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। জিনসেং নিরাপদ একটি ভেষজ।

Source: Copywrite

Ginseng
Website | + posts
Cart
  • No products in the cart.