রূপচর্চায় তিসির তেল
স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তিসির তেল রূপচর্চায় অনন্য। ত্বক ও চুলের যত্নে তিসির তেলের ব্যবহার বেশ পুরনো। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক কি কি সমস্যার সমাধান করে তিসির তেল।
ত্বকের যত্নে
ত্বকের যত্নে তিসির তেল বেশ উপকারী। যেমনঃ
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে
ত্বকের বলিরেখা সাধারণ একটি বিষয়। কিন্তু এই সামান্য একটি ত্বকে, সমস্যা আপনাকে বয়সের আগে বুড়ো করতে যথেষ্ট। তিসির তেলের নিয়মিত ব্যবহার এই সমস্যা সমাধান করে। প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করে সামান্য তেল নিয়ে মুখে ম্যাসেজ করুন। এভাবে ৩০ মিনিট ম্যাসেজ করুন এবং পরে ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ দিয়ে ফেলুন।
শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজার করে
শুষ্ক ত্বককে দারুণভাবে ময়েশ্চারাইজার করে তিসির তেল। কারন তিসির তেলে থাকা এন্টি-ফালামেটরি শুষ্ক ত্বককে গভীর থেকে ময়েশ্চারাইজার করে। এক্ষেত্রে আপনি শুধু তিসির তেল বা আপনার ব্যবহৃত ফেস প্যাকের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকের সংক্রমণ ও ফোলা ভাব প্রতিরোধ করে
তিসির তেলে থাকা alpha linolenic acid ত্বককে যে কোন প্রকার সংক্রমণ হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের অস্বাভাবিক ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের র্যাশ, লালচে ভাব ও ঘাম জনিত সমস্যা থেকে ত্বকে রক্ষা করে।
শুষ্ক ত্বকের টিস্যু নিয়ন্ত্রণে রাখে
ত্বকের সুস্থ্যতা,কিন্তু শরীরের ভিতরকার টিস্যু গুলোর উপর নির্ভরশীল।আপনার টিস্যু যতটা সুস্থ, আপনার ত্বক ততটা ফ্রেশ। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেএে টিস্যু গুলোকে ময়েশ্চারাইজার করে এবং ত্বকের পানি শূন্যতা ভাব দূর করে। এতে টিস্যু গুলোর মধ্যে একটা ভারসাম্য তৈরি হয়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
ত্বকের ডেড সেল গুলো পরিষ্কার কর এবং অতিরিক্ত তেল বাহির করে। তাছাড়া ত্বকের রঙের অসামঞ্জস্যতা দূর করে। ছোপ ছোপ কালো দাগ গুলো তুলে ফেলে। এতে করে সহজেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
রোদে পোড়া দাগ ও কালো ভাব দূর করে
তিসির তেলে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এতে ত্বকের সংক্রমণ এবং ইরিটেশন গুলো তিসির তেল সমাধান করে।
ব্রণ ও ব্যাল্ক হেডস দূর করে
তিসির তেলে থাকা ওমেগা ফ্যাটি -৩ এসিড এবং উচ্চ মানের এন্টি- ফালামেট্ররি প্রোপার্টিজ ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ব্রণের সমস্যা দূর করে। ব্যাল্ক হেডস মতো জিদি সমস্যাটা ও দূর করে তিসির তেল। সপ্তাহে নিয়মিত ৫ দিন ব্যবহারে অনেকটা সুফল মিলবে।
ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
বর্তমান সময়ে ত্বকের অন্যতম মারাত্মক সমস্যা ত্বকের ক্যান্সার। নানা রকম ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার মতো ত্বকের ক্যান্সারও বেড়ে চলেছে। তিসির তেলের ব্যবহার আপনাকে এই মহা বিপদ থেকে দূরে রাখে। কারণ এতে আছে এন্টি -অক্সিডেটিভ প্রোপার্টিজ যা ক্যান্সারের সেল তৈরি হতে বাধা সৃষ্টি করে।
চুলের যত্নে তিসির তেল
চুলের জন্য ও তিসির তেলের তুলনা হয় না। চুলের প্রায় প্রতিটি সমস্যা সমাধান রয়েছে তিসির তেলে।যেমনঃ
চুল পড়া বন্ধ করে
চুল পড়া আজ প্রধান সমস্যা নারী-পুরুষ সবার জন্য। তিসির তেল আপনার এই সমস্যার সমাধান করবে। তিসির তেলে রয়েছে ভিটামিন-ই যা চুলের জন্য অত্যবশকীয় উপাদান। চুলের ফলিক এসিড পূরণ করে তিসির তেল। ফলে চুল পড়া বন্ধ হয় সহজে।
চুলের পুষ্টি যোগায়
ওমেগা ফ্যাটি-৩ এসিডের সেরা উৎস তিসির তেল। নিয়মিত তিসির তেল ব্যবহারের ফলে চুলের গোড়ায় গোড়ায় পুষ্টি পায়। ফলে চুলের গোড়া হয় শক্ত ও মজবুত।
চুল লম্বা করে তিসির তেল
তিসির তেল চুল লম্বা করতে দারুন কার্যকরী। মাএ তিন মাসে নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয় লম্বা। কারণ এর এন্টি- অক্সিডেন্ট চুলের গোড়া রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে এবং অক্সিজেন পৌছাতে সাহায্য করে।
চুলকে কন্ডিশনিং করে
তিসির তেল চুলকে কন্ডিশন করে সাথে সাথে মসৃন ও করে তোলে চুল কে। যাতে সহজে এলোমেলো চুল গুলো হয়ে ওঠে আপনার মনের মতো। শ্যাম্পু করার আগে তিসির তেলের হট ওয়েল ম্যাসেজ চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনিং এর কাজটি করে দেয়। চুল হয়ে উঠে ঝরঝরে।
খুশকি থেকে মুক্তি
মাথার ত্বক সুস্থ রাখার কাজটি করে তিসির তেল। এতে সহজে খুশকি সহ মাথার ত্বকের সংক্রমিত যে কোন রোগ সেরে যায়। পরিমাণমত নারিকেল তেলের সাথে এক থেকে দেড় চা-চামচ তিসির তেল সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করলে খুশকির সমস্য দূর,হবে।
চুল ঘন ও কালো করে
তিসির তেলের ALA (alpha linolenic acid) চুলকে ঘন ও কালো করতে সাহায্য করে। শুধু তিসির তেল বা নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহারে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়।
তিসির তেলের এই সকল সুফল তখনি পাওয়া সম্ভব যখন আপনার হাতে সঠিক মানের পন্যটি থাকবে।
সুস্থ ও নিরাপদ খাবারের বন্ধু হয়ে সর্বক্ষণ আপনার পাশে আছে মাই অর্গানিক বিডি পরিবার। আপনার সুস্থ জীবন যাপনের নিত্য দিনের সঙ্গী।