ভেরেন্ডার পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি:
ভেরেন্ডা গাছ সাধারনতঃ ৩ মিটার হতে ৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। এর পাতা চওড়া এবং দেখতে হাতের পাঞ্জার মত। কান্ডের চারদিকে গোল হয় ছোট ছোট হলুদ ফুল হয়। পরবর্তীতে ফল হয়। ফলের গায়ে উঁচু কোমন কাঁটা থাকে। ফল পাকার পর ফেটে বীজ পড়ে যায়, বীজ কালো চকচকে।
প্রচলিত নামঃ ভেরেন্ডা, এরন্ড
ইউনানী নামঃ বেদ আঞ্জীর, এরন্ড
আয়ুর্বেদিক নামঃ এরন্ড
ইংরেজি নামঃ Castor oil plant
বৈজ্ঞানিক নামঃ Ricinus communis Linn.
পরিবারঃ Euphorbiaceae
প্রাপ্তিস্থানঃ
বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই প্রাকৃতিকভাবে পতিত জায়গায় জন্মায়। কোথাও কোথাও চাষ করা হয়।
রোপনের সময় ও পদ্ধতিঃ সারা বছর বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বীজ বপন করে চাষ করা হয়।
রাসায়নিক উপাদানঃ
বীজে প্রচুর পরিমাণ অনুদ্বায়ী তেল, ফ্যাটি এসিড, রিসিনিন অ্যালকালয়েড, এলবুমিন, প্রোটিন ও এনজাইম বিদ্যমান।
ব্যবহার্য অংশঃ কচিমূল, পাতা, বীজ ও বীজ নিঃসৃত তেল।
গুনাগুনঃ
বাতব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিণ্য নিবারক। অম্লশুল, রাতকানা, প্রসাবের স্বল্পতা ও ফোঁড়ায় কার্যকরী।
বিশেষ কার্যকারিতাঃ
বাতব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিণ্য নিবারক।
রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতিঃ
রোগেরনামঃ কোষ্ঠকাঠিণ্য
ব্যবহার্য অংশঃ মূলের রস
মাত্রাঃ ১০-২০ মিলি
ব্যবহার পদ্ধতিঃ সকালে ও বিকালে পানিসহ সেব্য।
রোগেরনামঃ অম্লশুল রোগে
ব্যবহার্য অংশঃ কচিপাতা
মাত্রাঃ ৫ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ ১ গ্লাস পানিতে প্রতিবার সিদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে সেব্য।
রোগেরনামঃ রাতকানা রোগে
ব্যবহার্য অংশঃ পাতা
মাত্রাঃ ১০-১২ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ ঘিয়ে ভেজে দুপুরে খাওয়ার সময় সেব্য।
রোগেরনামঃ প্রস্রাবের স্বল্পতায়
ব্যবহার্য অংশঃ কাঁচা মূল
মাত্রাঃ ১৫-২০ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ এক গ্লাস পানিতে জ্বাল করে ছেঁকে নিয়ে সেব্য।
রোগেরনামঃ বাতের ব্যথায়
ব্যবহার্য অংশঃ তেল
মাত্রাঃ ১-২ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ সৈন্দব লবণের সাথে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে।
সতর্কতাঃ
নির্দিষ্ট মাত্রার অধিক সেবন করা উচিত নয়।