ভৃঙ্গরাজের পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি:
ভৃঙ্গরাজ সূক্ষ্ম লোমযুক্ত বর্ষজীবি ছোট বীরৎ। কান্ড ১৫-২০ সে.মি. লম্বা হয়। গীষ্ম ও বর্ষাকালে ফুল ও ফল হয়।প্রাচীন কাল থেকেই ভৃঙ্গরাজের ভেষজ গুণাবলি গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রচলিত নামঃ ভৃঙ্গরাজ, কেশরাজ, ভিমরাজ
ইউনানী নামঃ ভাংরা
আয়ুর্বেদিক নামঃ ভৃঙ্গরাজ
ইংরেজি নামঃ Bringa Raj
বৈজ্ঞানিক নামঃ Wedelia calendulacea Less.
পরিবারঃ Asteraceae

ভৃঙ্গরাজের পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি
প্রাপ্তিস্থানঃ বাংলাদেশের বিশেষ করে বরিশাল, পটুয়াখালী, নিঝুম দ্বীপ, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলায় পাওয়া যায়।
রোপনের সময় ও পদ্ধতিঃ নরম ও আদ্র মাটিতে ভৃঙ্গরাজ জন্মে। শিকড় যুক্ত গিটসহ ডাল লাগালেই হয়।
রাসায়নিক উপাদানঃ পাতায় অ্যালকালয়েড, স্যাপোনিন, ফ্ল্যাভোনয়েডদ্রব্য, ল্যাকটোন, স্টেরল, ট্যানিন, রেজিন ও অজৈব লবণ বিদ্যমান।
ব্যবহার্য অংশঃ পাতা, বীজ ও সম্পূর্ণ গাছের রস।
গুনাগুনঃ চুল দীর্ঘ ও কালো করে, স্নায়ুবিক দুর্বলতায় ফলপ্রদ। বলকারক এর পাতা চুলপাকা রোধে ও চুলের বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়। মাথা ব্যথা ও শোথে কার্যকরী।
বিশেষ কার্যকারিতাঃ চুল দীর্ঘ ও কালো করে, স্নায়ুবিক দুর্বলতায় ফলপ্রদ।
রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতিঃ
রোগেরনামঃ বলকারক হিসেবে
ব্যবহার্য অংশঃ পাতার নির্যাস
মাত্রাঃ ১০-১২ মিলি
ব্যবহার পদ্ধতিঃ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ২ বার সেব্য।
রোগেরনামঃ চুলপাকা ও চুলপড়ায়
ব্যবহার্য অংশঃ পাতার রস
মাত্রাঃ পরিমানমত
ব্যবহার পদ্ধতিঃ চুলের গোড়ায় দিনে ২ বার লাগাতে হয়।
রোগেরনামঃ মাথা ব্যথায়
ব্যবহার্য অংশঃ পাতার রস
মাত্রাঃ পরিমানমত
ব্যবহার পদ্ধতিঃ চুলের গোড়ায় দিনে ২ বার লাগাতে হয়।
রোগেরনামঃ শোথে
ব্যবহার্য অংশঃ পাতার রস
মাত্রাঃ ২০-২৫ ফোঁটা
ব্যবহার পদ্ধতিঃ দুধের সঙ্গে দিনে ২-৩ বার সেব্য।
সতর্কতাঃ নির্দিষ্ট মাত্রা ও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ব্যবহার করা অনুচিত।
আমাদের এ লেখাটি ভালো লাগলে আরো পড়তে পারেন :