ব্রাক্ষীর পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি:
ব্রাক্ষী ছোট বীরুৎ। কান্ড বেশ নরম এবং কিছুটা লতানো স্বভাবের। পাতা সরল, প্রতিমুখ, প্রায় অবৃন্তক। গীষ্মকালে ফুল হয়। ফুল প্রায় সাদা বর্ণের, বৃন্তক, একক, উভলিঙ্গ।
প্রচলিত নামঃ ব্রাক্ষী শাক
ইউনানী নামঃ ব্রাক্ষী
আয়ুর্বেদিক নামঃ ব্রাক্ষী, নীরা ব্রাক্ষী
ইংরেজি নামঃ Indain Pennywort
বৈজ্ঞানিক নামঃ Bacopa monniera (Linn.) Pennel.
পরিবারঃ Scrophulariaceae
প্রাপ্তিস্থানঃ
ঢাকা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার পাওয়া যায়। সাধারনতঃল স্যাঁত-স্যাঁতে বা কর্দমাক্ত স্থানে ভাল জন্মায়।
রোপনের সময় ও পদ্ধতিঃ
কান্ড কেটে বর্ষার শুরুতে লাগিয়ে চাষ করা যায়। বেলে ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভাল জন্মে। নিয়মিত সেচের প্রয়োজন।
রাসায়নিক উপাদানঃ
এতে স্যাপোনিন, ম্যানিটল, অ্যালকালয়েড, স্টিগাস্টেরল, লুটিওলিন এবং বেটুলিক ও বেটুলিনিক এসিড বিদ্যমান।
ব্যবহার্য অংশঃ গোটা উদ্ভিদ।
গুনাগুনঃ
তিক্ত, মূত্রবর্ধক, মৃদুবিরেচক, উদ্দীপক, রক্ত পরিষ্কারক, মেধা বর্ধক।
বিশেষ কার্যকারিতাঃ
শুক্রতারল্যে ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে।
রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতিঃ
রোগেরনামঃ প্রসাবের স্বল্পতায়
ব্যবহার্য অংশঃ গাছের রস
মাত্রাঃ ২ চা-চামচ
ব্যবহার পদ্ধতিঃ ২ চা-চামচ রস ৬ চা-চামচ দুধের সাথে মিশিয়ে সকাল-বিকাল দু-বার সেব্য।
রোগেরনামঃ স্মৃতিশক্তির ক্ষীণতায়
ব্যবহার্য অংশঃ গাছের রস
মাত্রাঃ ২ চা-চামচ
ব্যবহার পদ্ধতিঃ ২ চা-চামচ রসে ১/২ চা চামচ গরম ঘি মিশিয়ে ১/২ কাপ দুধের সাথে সকালে হালকা নাস্তার পর সেব্য।
রোগেরনামঃ শুক্রতারল্যে
ব্যবহার্য অংশঃ গাছের রস
মাত্রাঃ ২ চা-চামচ
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
২ চা-চামচ রস ১ কাপ দুধের সাথে মিশিয়ে সকালে সেব্য।
সতর্কতাঃ
অধিক মাত্রায় খাওয়া উচিৎ নয়।