বাসক পাতা কি?

বাসক গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। সাধারনতঃ গাছ ২-৩ মিটার উঁচু এবং শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। শাখা গিঁটযুক্ত। পাতা সরল, প্রতিমুখ, বৃন্তক, লেন্স আকৃতির। বসন্তকালে মঞ্জুরীতে সাদা ফুল হয়।

প্রচলিত নামঃ বাসক

ইউনানী নামঃ আডুসা

আয়ুর্বেদিক নামঃ বাসকা/বাঁসা

ইংরেজি নামঃ Vasaka, Malabar Nut Tree

বাসক পাতার বৈজ্ঞানিক নামঃ Adhatoda zeylanica Nees. (A. vasica Linn.)

পরিবারঃ Acanthaceae

বাসক পাতা ও বাসক পাতার উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও পরিচিতি

প্রাপ্তিস্থানঃ

দেশের সর্বত্র, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে বেশী পাওয়া যায়। রাস্তার পাশে, পুকুর-ডোবার পাশে, বসতবাড়ীর আশে পাশে এমনিতেই জন্মে।

বাসক পাতা রোপনের সময় ও পদ্ধতিঃ

বর্ষার শুরুতে ডাল কাটিং করে লাগিয়ে বাসক পাতা চাষ করা যায়। অপেক্ষাকৃত শক্ত কান্ডকে কাটিংয়ের জন্য ব্যবহার করা উচিত। কাটিংয়ের দৈর্ঘ্য ২০-২৫ সে.মি. হওয়া বাঞ্চনীয়। বেলে মাটি ও গোবর ৩:১ অনুপাতে মিশিয়ে বীজ তলা তৈরি করে কাটিং লাগাতে হয়। পর্যাপ্ত পানি দিতে পারলে বছরের অন্য মৌসুমেও কাটিং করে লাগানো যায়। বীজ থেকে চারা তৈরি করেও এর চাষ করা যায়।

রাসায়নিক উপাদানঃ

বাসক পাতা, ছাল ও মূলে প্রচুর সংখ্যক কুইনাজোলিন অ্যালকালয়েড জৈব এসিড, স্নেহ দ্রব্য, উদ্বায়ী তেল অ ভিটামিন-সি বিদ্যমান।

ব্যবহার্য অংশঃ পাতা, ফুল, ছাল ও মূল।

গুনাগুনঃ

কফ নিঃসারক, শ্বাসকষ্ট প্রশমক, খিঁচুনি ও জ্বর নিবারক এবং জীবাণুনাশক। কাশি, শুষ্ককাশি, ব্রংকাইটিসে ফলপ্রদ।

বিশেষ কার্যকারিতাঃ কফ নিঃসারক ও শ্বাসকষ্ট প্রশমক।

রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতিঃ

রোগেরনামঃ শ্বাসকষ্ট ও কফ নিঃসরণে
ব্যবহার্য অংশঃ শুষ্কপাতা চূর্ণ
মাত্রাঃ ৩ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ চূর্ণের সাথে ২-৩ চা চামচ মধু ও সামান্য পরিমাণ পিপুল চূর্ণ মিশিয়ে দৈনিক ৩-৪ বার চেটে চেটেবা লেহন করে সেব্য।

রোগেরনামঃ

কাশি, শুষ্ককাশি ও ব্রংকাইটিসে
ব্যবহার্য অংশঃ কাঁচাপাতা বা ছালের রস
মাত্রাঃ ২০-৩০ মিলি (৪-৬ চা চামচ)
ব্যবহার পদ্ধতিঃ রসের সাথে ২-৩ চা চামচ মধু মিশিয়ে প্রত্যহ ৩-৪ বার সেব্য।

সতর্কতাঃ

নির্দিষ্ট মাত্রার অধিক সেবন করা উচিৎ নয়। এতে বমন বা বমি ভাব হতে পারে।

You May Also Like:

বাসক পাতা
Website |  + posts
Cart
  • No products in the cart.