বহেড়ার পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি:

বহেড়া গাছ ২৫-৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। পাতা সরল, বৃন্তক, ডিম্বাকার, শাখার মাথায় কতকটা গুচ্ছাকারে সজ্জিত। কচি পাতা তাম্র বর্ণ। শীতকালে পাতা ঝরে যায় এবং বসন্তের শেষে নতুন পাতা গজায়। জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে ফুল ফুটে।বহেড়ার ফল গোলাকৃ্তির।

প্রচলিত নামঃ বহেড়া, বয়রা

ইউনানী নামঃ বলীলা

আয়ুর্বেদিক নামঃ বিভীতক

ইংরেজি নামঃ Beleric Myrobalan

বৈজ্ঞানিক নামঃ Terminalia belerica Roxb.

পরিবারঃ Combretaceae

প্রাপ্তিস্থানঃ

ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এবং চট্রগ্রামের বনে পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন বাগানেও লাগানো হয়।

রোপনের সময় ও পদ্ধতিঃ

ডিসেম্বর হতে  ফ্রেরুয়ারী  পর্যন্ত পাকা ফল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়। ফল সংগ্রহের পর চারা উত্তোলনের জন্য এক সপ্তাহ রোদে শুকিয়ে ১-৩ মাস পর্যন্ত সংরক্ষন করা যায়। উক্ত সংরক্ষন সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ ফলকে ৪৮ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে মাটি আর গোবর ৩:১ অনুপাতে মিশিয়ে তৈরি বীজতলায় লাগাতে হয়।

রাসায়নিক উপাদানঃ

ফলে প্রচুর পরিমাণ ট্যানিন, স্টেরল, ম্যানিটল ও অন্যান্য চিনি বিদ্যমান।

ব্যবহার্য অংশঃ ফলের খোসা

গুনাগুনঃ

পাকস্থলী ও মস্তিস্কের শক্তিবর্ধক, রুচিকারক, ক্ষুধাবর্ধক ও হজমকারক। মস্তিস্কের দুর্বলতা, মাথাব্যথা এবং দৃষ্টি শক্তির দুর্বলতায় কার্যকরী।

বিশেষ কার্যকারিতা:

পাকস্থলী ও মস্তিস্কের শক্তিবর্ধক, রুচিকারক।

রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতিঃ

রোগেরনামঃ পাকস্থলীর দুর্বলতায়, হজমশক্তি বৃদ্ধি ও ক্ষুধামন্দায়
ব্যবহার্য অংশঃ খোসা চূর্ণ
মাত্রাঃ ৫-৬ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ আহারের পর দিনে ২ বার পানিসহ সেব্য।

রোগেরনামঃ মস্তিষ্কের দুর্বলতায় ও মাথাব্যথায়
ব্যবহার্য অংশঃ খোসা চূর্ণ
মাত্রাঃ ৫ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ মধুসহ দিনে ২-৩ বার সেব্য।

রোগেরনামঃ দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে
ব্যবহার্য অংশঃ খোসা চূর্ণ
মাত্রাঃ ৫ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ ৩-৪ চা চামচ ভৃংগরাজের নির্যাসসহ সকালে খালি পেটে সেব্য।

সতর্কতাঃ

নির্দিষ্ট মাত্রার অধিক সেবন করা উচিৎ নয়।

বহেড়ার পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি
Website | + posts
Cart
  • No products in the cart.