পেঁপের পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি:

পেঁপে একটি ছোট আকৃতির অশাখা বৃক্ষবিশেষ। লম্বা বোঁটাযুক্ত ছত্রাকার পাতা বেশ বড় হয় এবং সর্পিল আকারে কান্ডের উপরি অংশে সজ্জিত থাকে। প্রায় সারা বছরই ফুল ও ফল হয়। কাঁচা ফল সবুজ, পাকা ফল হলুদ বা পীত বর্ণের।

প্রচলিত নামঃ পেঁপে

ইউনানী নামঃ পাপিতা, আরান্‌ড খরবূযা

আয়ুর্বেদিক নামঃ অমৃততুম্বী

ইংরেজি নামঃ Papaw, Papaya

বৈজ্ঞানিক নামঃ Carica papaya Linn.

পরিবারঃ Caricaceae

প্রাপ্তিস্থানঃ

বাংলাদেশের সর্বত্রই সবজি এবং ফলের জন্য চাষ করা হয়।

রোপনের সময় ও পদ্ধতিঃ

বীজ থেকে চারা করে লাগানো হয়। সারা বছরই লাগানো যায়। তবে বর্ষা মৌসুমে লাগানো ভাল হয়।

রাসায়নিক উপাদানঃ

পাতা ও অপক্ক ফল তরুক্ষীর সমৃদ্ধ। এই তরুক্ষীরে প্রচুর পরিমাণ হজমকারী এনজাইম পেপেন বিদ্যমান। পাতায় অ্যালকালয়েড, গ্‌লুকোসাইড এবং ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে।

ব্যবহার্য অংশঃ তরুক্ষীর, পাতা, ফল ও বীজ।

গুনাগুনঃ

রক্ত কাসে, রক্তার্শে, মূত্রনালীর ক্ষতে, দাদ ও সোরিয়াসিস-এ, কোষ্ঠকাঠিণ্যে এবং কৃমিতে হিতকর। পাকা পেঁপে অর্শরোগ ও কোষ্ঠকাঠিণ্যে রোগে হিতকর।

বিশেষ কার্যকারিতাঃ রক্তার্শে, কৃমিতে, একজিমায়, দাদে কার্যকরী।

রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতিঃ

রোগেরনামঃ রক্তপড়া অর্শে
ব্যবহার্য অংশঃ কাঁচা পেঁপের তরুক্ষীর
মাত্রাঃ ৫/৭ ফোটা
ব্যবহার পদ্ধতিঃ প্রতিদিন সকালে সামান্য গুড় সহ সেব্য।

রোগেরনামঃ দাদ রোগে
ব্যবহার্য অংশঃ কাঁচা পেঁপের তরুক্ষীর
মাত্রাঃ প্রয়োজনমত
ব্যবহার পদ্ধতিঃ একদিন পর পর দাদে লাগাতে হবে।

সতর্কতাঃ

পেঁপের তেমন কোন সতর্কতার প্রয়োজন নাই।

পেঁপের উপকারীতা
Website |  + posts
Cart
  • No products in the cart.