পিপুলের পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি:
পিপুল এক প্রকার লতানো গাছ, সাধারনতঃ মাটির উপ্র ছড়িয়ে পড়ে অথবা অন্য গাছ বেয়ে উপরে উঠে। লতাটির সামনের অংশ কোমল, পাতা ডিম্বাকৃতি, অনেকটা পানের মত দেখতে, ৫ শিরা বিশিষ্ট, ৫-৮ সে.মি. লম্বা হয়। পুষ্পদন্ড ২-৪ সে.মি. লম্বা সোজা ও উন্নত। ফলগুলো সবুজ হরিদ্রাভ বর্ণের। পাকলে রক্তবর্ণের এবং শুকিয়ে যাওয়ার পর কৃষ্ণাভ ধূসর বর্ণের হয়।
প্রচলিত নামঃ পিপুল
ইউনানী নামঃ ফিলফিল দরাজ
আয়ুর্বেদিক নামঃ কর্ণ, পিপ্পলী
ইংরেজি নামঃ Long Pepper
বৈজ্ঞানিক নামঃ Piper longum Linn.
পরিবারঃ Piperaceae
প্রাপ্তিস্থানঃ
ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্রগ্রাম, পার্বত্য চট্রগ্রাম ও সিলেটের বনাঞ্চলে পাওয়া যায়।
রোপনের সময় ও পদ্ধতিঃ
বর্ষাকালে ফুল এবং শরৎকালে ফল হয়। লতা কেটে লাগালেই গাছ হয়। অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় বর্ষার আগেই লাগানো হয়। মৌসুমি বৃষ্টির শুরুতে মূল সমৃদ্ধ লতার কাটিং লাগাতে হয়।
রাসায়নিক উপাদানঃ
ফলে ঝাঁঝালো রজন, উদ্বায়ী তেল, তরল ও কঠিন অ্যালকালয়েড, টার্পিন দ্রব্য, স্টেরল, গ্লাইকোসাইড, শ্বেতসার ও শর্করা দ্রব্য।
ব্যবহার্য অংশঃ বীজ ও মূল।
গুনাগুনঃ
হজমকারক, বায়ুনাশক, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তিবর্ধক। কাশি, জীর্ণজ্বর, মেদ ও হাঁপানি, বাত, প্লীহাবৃদ্ধিতে উপকারী।
বিশেষ কার্যকারিতাঃ হজমকারক ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক।
রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতিঃ
রোগেরনামঃ হজমশক্তি বৃদ্ধি ও পেটফাঁপায়
ব্যবহার্য অংশঃ বীজচূর্ণ
মাত্রাঃ ৫০০ মি. গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ আহারের পর দিনে ২ বার পানিসহ সেব্য।
রোগেরনামঃ কাশি ও হাঁপানিতে
ব্যবহার্য অংশঃ বীজচূর্ণ
মাত্রাঃ ১ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ মধু মিশিয়ে চেটে চেটে বা লেহন করে দিনে ২-৩ বার সেব্য।
রোগেরনামঃ মেদরোগে
ব্যবহার্য অংশঃ বীজচূর্ণ
মাত্রাঃ ৫০০ মি. গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ আধা চামচ মধুসহ আহারের ১৫ মিনিট পর এক কাপ গরম পানিসহ সেব্য। (২০-২৫ দিন)
সতর্কতাঃ
নির্দিষ্ট মাত্রার অধিক ব্যবহার করা সমীচীন নয়। এতে মাথাব্যথা হতে পারে।