তেজপাতার গুণাবলি
আপনি কি তেজপাতার উপকারিতা পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি জানেন? তেজপাতা মস্তিস্ক, হৃদযন্ত্র, যকৃত, পাকস্থলী ও অন্ত্রের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারি।
তেজপাতা গাছ মাঝারি আকারের বৃক্ষ। পাতা সরল, লেন্স আকৃতির, সুগন্ধ যুক্ত, ১০-১২ সে.মি. লম্বা হয়ে থাকে। পাতা কচি অবস্থায় লাল, বড় হলে কাঁচা অবস্থায় গাঢ় সবুজ এবং শুকালে হাল্কা সবুজ বা বাদামী রং ধারন করে। সাধারনতঃ মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল হয়। ফল গোলমরিচের মত, পাকলে কালো বর্ণ ধারন করে।
প্রচলিত নামঃ তেজপাতা (Tejpata)
ইউনানী নামঃ সায্জ হিন্দী
আয়ুর্বেদিক নামঃ তেজপত্র, তমালপত্র
তেজপাতা English: Bay Leaf
বৈজ্ঞানিক নামঃ Cinnamomum tamala Nees.
পরিবারঃ Lauraceae
প্রাপ্তিস্থানঃ সারাদেশে লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশি হয়
তেজপাতার উপকারিতা পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি
তেজপাতার উপকারিতা
চুলের জন্য তেজপাতার উপকারিতা
তেজপাতার চায়ের উপকারিতা
তেজপাতার ব্যবহার
তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম
তেজপাতার ধোয়ার উপকারিতা
তেজপাতা রোপনের সময় ও পদ্ধতিঃ
পাহাড়ী বা সমতলভূমিতে এর চাষ করা যায়জ। দোঁ-আশ মাটিতে ভাল হয়। কাটিং এর মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়। ১২ থেকে ১৫ ফুট দূরত্বে রোপণ করতে হয়। কলম করেও লাগানো যায়।
রাসায়নিক উপাদানঃ
পাতায় ইউজেনল, আইসো-ইউজেনল, ফিলাড্রিন ও সিনাম্যালডিহাইড সমৃদ্ধ উদ্বায়ী তেল বিদ্যমান।
ব্যবহার্য অংশঃ পাতা ও ছাল।
তেজপাতার গুনাগুনঃ
মস্তিস্ক, হৃদযন্ত্র ও যকৃতের শক্তিবর্ধক, প্রফুল্লতা আনয়নকারক, পাকস্থলী ও অন্ত্রের ব্যথানিবারক, যৌনশক্তি বর্ধক ও পুষ্টিকারক।
বিশেষ কার্যকারিতাঃ মস্তিস্ক, হৃদযন্ত্র ও যকৃতের শক্তিবর্ধক।
রোগ অনুযায়ী তেজপাতার ব্যবহার পদ্ধতিঃ
রোগেরনামঃ মস্তিস্ক, হৃদযন্ত্র ও যকৃতের দুর্বলতায়
ব্যবহার্য অংশঃ তেজপাতা চূর্ণ
মাত্রাঃ ২ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ ২-৩ চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার সেব্য।
রোগেরনামঃ পাকস্থলী ও অন্ত্রের ব্যথা নিরসনে
ব্যবহার্য অংশঃ তেজপাতা চূর্ণ
মাত্রাঃ ২ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ সামান্য পরিমান বিট লবন, শুঠ (শুকনো আদা) মিশিয়ে প্রত্যহ ২-৩ বার গরম পানিসহ সেব্য।
রোগেরনামঃ শারীরিক ও যৌন দুর্বলতায়
ব্যবহার্য অংশঃ তেজপাতা চূর্ণ
মাত্রাঃ ৩ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ তেজপাতা চূর্ণের সাথে ৩-৪ চামচ মধু ও সামান্য পরিমান দারুচিনি চূর্ণ মিশিয়ে প্রত্যহ ২ বার সেব্য।
সতর্কতাঃ
অধিক মাত্রায় সেবন করা সমীচীন নয়। এতে মাথা ব্যথা হতে পারে।
আমাদের এ লেখাটি ভালো লাগলে আরো পড়তে পারেন :
অনন্তমূলের পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি
Trackbacks/Pingbacks