প্রচলিত নামঃ জৈন/যোয়ান
ইউনানী নামঃ আজওয়াইন (দেশী), আজোয়ান
আয়ুর্বেদিক নামঃ যমানী, যোয়ন
ইংরেজি নামঃ Bishop’s Weed
বৈজ্ঞানিক নামঃ Trachyspermum ammi (Linn.) sprague
পরিবারঃ Apiaceae
পরিচিতিঃ জৈন বর্ষজীবী উদ্ভিদ। সাধারনতঃ ৬০-৯০ সে.মি. পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। গাছগুলো দেখতে প্রায় ধনে গাছের মত। ছত্রাকারে সাদা রং এর ফুল হয়। এর বীজ অনেকটা রাঁধুনীর বীজের মত গোলাকার। তবে অপেক্ষাকৃত ছোট। বীজের গন্ধ অতীব তীব্র।
প্রাপ্তিস্থানঃ বৃহত্তর ময়মনসিংহে অধিক চাষ করা হয়। দেশের উত্তরাঞ্চলে জেলাগুলোতেও সীমিত আকারে চাষ করা হয়।
রোপনের সময় ও পদ্ধতিঃ সুনিকার্ষিত উঁচু জমিতে রবি মৌসুমে এর চাষ হয়। বীজ থেকে এর ফসল উৎপাদন করা হয়।
রাসায়নিক উপাদানঃ বেনজোপাইরানোন নামীয় রাসায়নিক উপাদান এবং থাইমল সমৃদ্ধ উদ্বায়ী তেল বিচিতে বিদ্যমান।
ব্যবহার্য অংশঃ বীজ ও তেল।
গুনাগুনঃ হজমকারক, বায়ুনিঃসারক, পাকস্থলীর ব্যথা নিবারক। অজীর্ণ, পেটফাঁপা, ক্ষুধামন্দা ও মুখের দুর্গন্ধ নিরসনে উপকারী। বাতবেদনা ও স্নায়ুবিক ব্যথায় জৈনের তেল অত্যন্ত কার্যকরী।
বিশেষ কার্যকারিতাঃ হজমকারক, বায়ুনিঃসারক, পাকস্থলীর ব্যথা নিবারক।
রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতিঃ
রোগেরনামঃ হজমশক্তি বৃদ্ধি ও পেটফাঁপায়
ব্যবহার্য অংশঃ বীজচূর্ণ
মাত্রাঃ ১-২ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ আহারের পর দিনে ২ বার সামান্য বিট লবণ বা কালো লবণ মিশিয়ে পানিসহ সেব্য।
রোগেরনামঃ অজীর্ণ ও পাকস্থলীর ব্যথা নিরসনে
ব্যবহার্য অংশঃ বীজচূর্ণ
মাত্রাঃ ২-৩ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ আহারের পর দিনে ২ বার সামান্য শুঁঠ চূর্ণ ও বিট লবণ মিশিয়ে গরম পানিসহ সেব্য।
রোগেরনামঃ বাতব্যথা ও স্নায়ুবিক বেদনায়
ব্যবহার্য অংশঃ তেল
মাত্রাঃ প্রয়োজনমত
ব্যবহার পদ্ধতিঃ আক্রান্ত স্থানে হালকাভাবে মালিশ করতে হয়।
সতর্কতাঃ নির্দিষ্ট মাত্রায় অধিক সেবন করা সমীচীন নয়। এতে মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে।
আমাদের এ লেখাটি ভালো লাগলে আরো পড়তে পারেন :