চালতার পরিচিতি ও ভেষজ গুণাবলি :
মাঝারী ধরনের গাছটি ১০ মিটার পর্যন্ত উচু হয়ে থাকে। গাত্রবর্ণ ধূসর,কাঠ বেশ শক্ত, পাতা সরল, বৃন্তক, একান্তর, সুস্পষ্ট শিরা বিশিষ্ট, ২০-২৫ সে.মি. লম্বা হয়। ফুল বেশ বড়, সাদা বর্ণের, অল্প সুগন্ধযুক্ত। ফল পাকে অক্টোবর-ডিসেম্বরে। ফল্গুলো কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও গোলাকার হয়।
প্রচলিত নামঃ চালতা
ইউনানী নামঃ চালতা
আয়ুর্বেদিক নামঃ চালতা
ইংরেজি নামঃ Dillenia
বৈজ্ঞানিক নামঃ Dillenia indica Linn.
পরিবারঃ Dilleniaceae
প্রাপ্তিস্থানঃ বাংলাদেশের সর্বত্রই পাওয়া যায় তবে দক্ষিনাঞ্চলে বেশি।
রোপনের সময় ও পদ্ধতিঃ বীজের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়। বর্ষা মৌসুমে চারা লাগাতে হয়। গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১০-১২ মিটার হওয়া ভাল।
রাসায়নিক উপাদানঃ ফলের প্রধান উপাদান ট্যানিন, বিভিন্ন জৈব এসিড ইত্যাদি। পাতায় ফ্ল্যাভেন দ্রব্য, সাইটোস্টেরল ও জৈব এসিড বিদ্যমান।
ব্যবহার্য অংশঃ পাতা, মূলের ছাল, ফল।
গুনাগুনঃ হজমকারক, বায়ুনাশক, বলকারক।
বিশেষ কার্যকারিতাঃ রেচক, প্রদাহনাশক, বাতনাশক
রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতিঃ
রোগেরনামঃ সাধারন দুর্বলতায় ও শুক্রসল্পতায়
ব্যবহার্য অংশঃ পাকা মিষ্টি ফলের রস
মাত্রাঃ ৫-১০ মিলি
ব্যবহার পদ্ধতিঃ আহারের পূর্বে দিনে ২ বার সেব্য।
রোগেরনামঃ চুল পড়ায়
ব্যবহার্য অংশঃ পাকা/কাচা ফলের রস
মাত্রাঃ প্রয়োজনমত
ব্যবহার পদ্ধতিঃ প্রত্যহ ১ বার পানিসহ চুলের গোড়ায় লাগাতে হয়।
রোগেরনামঃ খাদ্যর বিষক্রিয়ায়
ব্যবহার্য অংশঃ ছালের নির্যাস
মাত্রাঃ ৫-১০ মিলি
ব্যবহার পদ্ধতিঃ ৩-৪ ঘন্টা পর পর পানিসহ সেব্য।
সতর্কতাঃ অতি মাত্রায় খেলে এসিডিটি হতে পারে।
আমাদের এ লেখাটি ভালো লাগলে আরো পড়তে পারেন :