ঘৃতকুমারী পরিচিতি :
নামঃ ঘৃতকুমারী
ইউনানী নামঃ ঘিকোয়ার, ছুবারা
আয়ুর্বেদিক নামঃ ঘৃতকাঞ্চন বা তরুনী
ইংরেজি নামঃ Indian aloe, Aloe
বৈজ্ঞানিক নামঃ Aloe barbadensis Mill. ( A. indica Royale, A. vera Tourn. ex. Linn. )
পরিবারঃ Liliaceae
ঘৃতকুমারীর ভেষজ গুণাবলি:
পরিচিতিঃ ঘৃতকুমারী এক থেকে দুই ফুট উঁচু সরালো উদ্ভিদ। পাতা লম্বা ও মোটা, গোড়া হতে মাথার দিকে ক্রমশঃ সরু, কিনারা কাটা যুক্ত। পাতার নিচের দিক বৃত্তাকার। পাতার অভ্যন্তরে পিচ্ছিল রসালো পদার্থ থাকে। উৎকৃষ্ট গন্ধযুক্ত তিক্ত স্বাদের এই রস পদার্থটি বের করে জ্বাল দিয়ে শুকিয়ে ঘনীভূত করে নিলেই মুছাব্বর তৈরি হয়।
প্রাপ্তিস্থানঃ সারাদেশে বাগানে লাগানো হয় এবং কোথাও কোথাও চাষ করা হয়। এটি গৃহ প্রাঙ্গনে ও টবে ও চাষ করা যায়।
রোপনের সময় ও পদ্ধতিঃ অঙ্গজ প্রজননের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়। পাশ থেকে বের হওয়া ছোট ছোট অঙ্গজ বংশ বিস্তারে সহায়তা করে ।বৎসরের যে কোন সময় লাগানো হয়।
রাসায়নিক উপাদানঃ পাতার রসের প্রধান প্রধান বার্ব্যালোয়েন, ইমোডিন এসিড সহ বিভিন্ন গ্লাইকোসাইড। এছাড়াও এতে রয়েছে স্যাপোনিন, টার্পিন ও ভিটামিন।
ব্যবহার্য অংশঃ পাতার ভিতরের মজ্জা ও রসালো পিচ্ছিল দ্রব্য।
গুনাগুনঃ রেচক, প্রদাহনাশক, বাতনাশক। পাকস্থলির শক্তিবর্ধক, হজমকারক ও কৃমিনাশক। প্লীহা ও যকৃত প্রদাহ ও ত্বকের লাবন্যতায় উপকারী।
বিশেষ কার্যকারিতাঃ রেচক, প্রদাহনাশক, বাতনাশক
রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতিঃ
রোগেরনামঃ প্লীহা ও যকৃত প্রদাহে
ব্যবহার্য অংশঃ মজ্জা ও রস
মাত্রাঃ ৭ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ সকাল-বিকালে খালিপেটে সেব্য।
রোগেরনামঃ কৃমিতে
ব্যবহার্য অংশঃ মজ্জা ও রস
মাত্রাঃ ৫ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ সকাল-সন্ধায় পানিসহ সেব্য।
রোগেরনামঃ ত্বকের লাবন্যতায়
ব্যবহার্য অংশঃ মজ্জা ও রস
মাত্রাঃ ৪-৫ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ গরম পানিসহ ভোরে ও রাতে শয়নকালে সেবন করতে হয় ।
সতর্কতাঃ অধিক সেবনে অন্ত্রের উষ্ণতা সৃষ্টি হতে পারে ।
আমাদের এ লেখাটি ভালো লাগলে আরো পড়তে পারুন :